Connect with us

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিউজ

বাইন্যান্স; ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের নায়ক নাকি খলনায়ক?

Published

on

২০১৭ সালে শুরু হওয়া সেন্ট্রালাইজড ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের প্রথম সারির ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক্সচেঞ্জ। বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং সি.ই.ও চাংপেং ঝাও (Changpeng Zhao) এর মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ে বাইন্যান্স বর্তমান অবস্থানে পৌঁছায়। কয়েনমার্কেটক্যাপ কিংবা কয়েনগেকো, দুইটার তথ্য অনুসারেই বাইন্যান্স বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ। আজকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইন্যান্স এক্সচেঞ্জে দৈনিক ৫০০ কোটি ডলারের বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এক্সচেঞ্জ কয়েনবেজের দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ মাত্র ৫০ কোটি ডলার এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা এক্সচেঞ্জ কুকয়েনে প্রতিদিন লেনদেনের পরিমান ৩৭ কোটি ডলার। এছাড়াও, সিমিলার ওয়েব এর তথ্য অনুযায়ী, যেখানে কুকয়েনে প্রতিমাসে প্রায় ৯ মিলিয়ন ভিজিট হয় এবং কয়েনবেজে ৩২ মিলিয়ন, সেখানে বাইন্যান্সে প্রতিমাসে ৬৪ মিলিয়নের বেশি ভিজিট হয়ে থাকে। তথ্য এবং উপাত্ত দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাইন্যান্স তালিকার কোন অবস্থানে আছে এবং কিভাবে মার্কেট একচেটিয়া দখলে রেখেছে।

বাইন্যান্সের মার্কেট নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা

বাইন্যান্স ২০১৭ সালে শুরু হয়েও কিভাবে এত দ্রুত সময়ে তালিকার শীর্ষে এসে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই অবাক করার মত বিষয়। তবে, যদি এক কথায় সেটার উত্তর দিতে হয় তাহলে বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠাতা চাংপেং ঝাও এর প্রশংসা করতেই হবে। তার পরিকল্পনায় বাইন্যান্স বর্তমানে এই অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বাইন্যান্স শুরু থেকেই চেয়েছে মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে যেন তাদের বানানো নিয়ম চলে কিংবা তাদের কথাই হয় শেষ কথা, সে চেষ্টাই করেছে বাইন্যান্স।

বাইন্যান্স ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের জন্য অনেক ভালো কিছু করেছে একথা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনি সত্যি যে বাইন্যান্স সকল ভালো কর্মকান্ডগুলো করেছে তাদের বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য। বাইন্যান্সের কারণে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে অনেক মানুষ জেনেছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অনেক নতুন বিনিয়োগ এসেছে। কিন্তু, দিনশেষে চাংপেং ঝাও তার লক্ষ্য পূরণে কাজ করছিল। তার লক্ষ্য কি? ক্ষমতা, টাকা, ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করা।

বাইন্যান্সের এইসব পরিকল্পনার প্রথম চেষ্টা ২০১৯ সালে। বাইন্যান্স থেকে ৭০০০ বিটকয়েন হ্যাক হয়ে যায়। তখনকার সময়ে ৭০০০ বিটকয়েন এর দাম ছিল প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার। আমরা সবাই জানি বিটকয়েন হ্যাক হয়ে যাওয়া মানে সেটা আর ফেরত পাওয়া সম্ভব না। ব্যাপারটা যদিও সত্য কিন্তু আপনি যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে ফেরত পাওয়া সম্ভব। কিভাবে? আপনাকে ৫১% মাইনার বা বিটকয়েন নোডকে রাজি করাতে হবে। যদি ৫১% রাজি থাকে তাহলে হ্যাকার যত নাম্বার ব্লকে বিটকয়েন হ্যাক করেছিল তার আগের ব্লক থেকে নতুন একটা ব্লকচেইন শুরু করবে এবং সেটা হবে বিটকয়েন ব্লকচেইন। পক্ষান্তরে, হ্যাকার যে ব্লকচেইন এর বিটকয়েন হ্যাক করেছে, মানে বিটকয়েন এর মূল ব্লকচেইন আর সঠিক বলে গণনা করা হবে না। চাংপেং চেয়েছিল বিটকয়েনকে রোলব্যাক করে তার ৭০০০ বিটকয়েন উদ্ধার করতে তবে সে ব্যর্থ হয়। কারণ বিটকয়েন ব্লকচেইনে রোলব্যাক করলে মানুষ এর উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর বিটকয়েন ব্লকচেইন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ডিসেন্ট্রালাইজড ব্লকচেইন। তাহলে কেন সেখানে কেউ একটা সেন্ট্রালাইজড কাজ করতে যাবে। অবশ্য, চাংপেং নিজেও জানতেন রোলব্যাক কেউ করতে চাইবে না, কিন্তু তবে সে রোলব্যাকের কথা বলে আসলে মার্কেটে তার অবস্থান দেখতে চেয়েছিল।

২০১৯ এর নভেম্বরে বাইন্যান্স ঘোষণা দেয় তারা ভারতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ WazirX ক্রয় করেছে। ভারত বিশ্বের ২য় সর্বোচ্চ জনবহুল দেশ, চীনের পরেই তাদের অবস্থান। বাইন্যান্স ভারতীয় মার্কেটে ঢুকতে এর চেয়ে ভালো সুযোগ কখনোই ছিল না। যদিও কয়েকমাস আগে বাইন্যান্স ঘোষণা করে তারা এই এক্সচেঞ্জ ক্রয় করে নি।

একই বছর বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠা করে বি.এন.বি চেইন যদিও পরবর্তীতে সেটাকে বাইন্যান্স কম্যুনিটির সাথে জড়িয়ে দেয় বাইন্যান্স। চাংপেং এর মতে, বাইন্যান্স স্মার্ট চেইন বাইন্যান্সের নয়। তবে তারা ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি এই চেইনের পিছনে বিনিয়োগ করেছে যাতে এইটা ইথেরিয়াম ব্লকচেইন কিংবা অন্যান্য ব্লকচেইন থেকে পিছিয়ে না পরে। ৪০ মিলিয়নের জন্য যে বাইন্যান্স বিটকয়েন ব্লকচেইন রোলব্যাক করার পরিকল্পনা করে, সেই একই বাইন্যান্স কেন একটি ব্লকচেইনের পেছনে ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে।

২০২০ সালে এসে বাইন্যান্স কয়েনমার্কেটক্যাপ ক্রয় করে নেয়। কয়েনমার্কেটক্যাপ এর নামে শুনেন নাই এমন কেউ আছেন? যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের সাথে সরাসরি জড়িত তারা নিশ্চয়ই কয়েনমার্কেটক্যাপের নাম শুনেছেন। ব্রান্ডন চেজ ২০১৩ সালে কয়েনমার্কেটক্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু তখন ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নজর রাখার জন্য তেমন কোন সাইট ছিল না, কয়েনমার্কেটক্যাপ খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম এবং অন্যান্য খবরাখবর রাখার জন্য, কয়েনমার্কেটক্যাপ তখন থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাইট।

২০২০ সালের মার্চে বাইন্যান্স ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ব্রান্ডন চেজ থেকে কয়েনমার্কেটক্যাপ ক্রয় করে নেয়। একচেটিয়া মার্কেট দখলের জন্য এর চেয়ে বেশি আর কি প্রয়োজন? ওয়াশট্রেডিং কিংবা অতিরিক্ত ট্রেডিং ভলিউম সকল ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ করে থাকে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বাইন্যান্সের বিরুদ্ধে ওয়াশট্রেডিং করার কথা শোনা যায়। কয়েনমার্কেটক্যাপের সহযোগিতায় এই কাজটি কি সহজ হয় নি?

এছাড়াও বিভিন্ন স্টার্টআপ প্রজেক্টে বিনিয়োগ করে বাইন্যান্স। গত বুল মার্কেটে শুরু হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এফ.টি.এক্স এ বিনিয়োগ ছিল বাইন্যান্সের। বাইন্যান্স সেখানে কি করে সে ইতিহাস তো সবারই জানা। এফ.টি.এক্স তাদের নিজের ভুলেই পতন হয়েছে তবে বাইন্যান্সের ভুমিকা কম ছিল কি?

এত গেল বাইন্যান্সের পরিকল্পনার কথা। কিভাবে তারা মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে সেকথা কিংবা কি তাদের লক্ষ্য সে কথা। এখন চলুন দেখে নেয়া যাক বাইন্যান্স কি কি অপকর্মে জড়িত।

চীনে বাইন্যান্সের সীমাহীন অপকর্ম

চীনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যান যেন দৈনিক ঘটনা ছিল। আজ এক নিয়ম তো কিছুদিন পর ভিন্ন নিয়ম। মানে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেটা প্রত্যাহার করেছে কয়েকবার। ২০২১ সালে সর্বশেষ চীন ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করে। বাইন্যান্স যদি চীনে ব্যবসা করতে চায় তাহলে অবশ্যই চীনের নিয়মকানুন মেনে তবেই সেখানে ব্যবসা করতে পারবে। যেহেতু চীনে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ, বাইন্যান্স সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করতে পারে না। বৈধভাবে তারা সে ব্যবসা করছেন না। অবৈধভাবেই করে বেড়াচ্ছে। যেমনটা বাংলাদেশে করছে। বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও বাইন্যান্স বাংলাদেশে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, ঠিক সেভাবে চীনে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না কারণ চীন আমাদের দেশ থেকে অনেক বেশি নিয়ম কানুন আছে এবং সেগুলোর সঠিক প্রয়োগ আছে। কিন্তু চীন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। চাংপেং এতটাও বোকা নয় যে এত বড় একটা মার্কেট সে ছেড়ে দিবে। যার ফলস্বরুপ, বাইন্যান্সের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা চীনের ট্রেডারদের ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে দিয়েছে বাইন্যান্সে। এই সংখ্যা একটা দুটো নয়। চীন থেকে যারাই বাইন্যান্সে ট্রেডিং করেছে সবাই। কারণ তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এর অনুমতি ছিল না।

যেসব দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ নয় সেসব দেশে তারা ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি অনেক দেশে তারা কোন বৈধ অনুমতি ছাড়াই তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ায় বাইন্যান্সকে ব্যান করা সত্ত্বেও তারা সেখানে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এত কিছু করা সত্ত্বেও বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠাতা সবসময় নিজেকে এবং বাইন্যান্সকে ক্রিপ্টো জগতে খুব ভালো ভাবে উপস্থাপন করে চলেছে যা মানুষ কখনো টেরই পাচ্ছে না।

তবে, সম্প্রতি তারা একের পর এক আইনী জটিলতায় জড়িয়ে পড়ছে। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলে তাদের নামে মামলা হয়েছে।

ইউ.এস এ বাইন্যান্সের নামে মামলা

ইউ.এস এর সরকারী সংস্থা CFTC কিছুদিন আগে বাইন্যান্সের নামে মামলা করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, বাইন্যান্স ইউ.এস তে অনেক ধরনের ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘ দিন তবে তাদের বেশিরভাগ প্রোডাক্টের কোন সঠিক লাইসেন্স বাইন্যান্স নেয় নি। মানে, সঠিক অনুমোদন ছাড়াই বাইন্যান্স ব্যবসা করছিল। বাইন্যান্সের পাশাপাশি উক্ত সংস্থাটি, বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চাংপেং এবং স্যামুয়েল লিমের বিরুদ্ধে আইন মেনে না চলায় মামলা করেছে। সংস্থাটি আরো দাবি করে যে, বাইন্যান্স কোন অনুমোদন ছাড়াই অনেক কাস্টোমারকে তাদের এক্সচেঞ্জে নিবন্ধণ এবং ট্রেড করতে দিয়েছে।

তবে, এই ব্যাপারে বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধান করে আমি বলতে পারি যে আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং আমরা দ্বিমত পোষণ করছি।”

অস্ট্রেলিয়ায় বাইন্যান্সের লাইসেন্স বাতিল

অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বাইন্যান্সের লাইসেন্স বাতিল করেছে। তারা জানায়, বাইন্যান্সকে অবশ্যই আগামী ২১শে এপ্রিলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় বাইন্যান্সের লাইসেন্স কখনোই সম্পূর্ণ ছিল না। সাধারণ ট্রেডাররা বাইন্যান্স ব্যবহারের অনুমতি ছিল না সেখানে। তবে, বাইন্যান্স সেখানে লাইসেন্সের সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা না করে, স্থানীয় আইন ভেঙে অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণ ট্রেডারদের বাইন্যান্স এ ট্রেড করতে দিয়ে আসছিল অনেকদিন। সম্প্রতি, এই বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা বাইন্যান্সের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

কয়েনআলাপ কেন এই বিষয়ে প্রতিবেদন করছে?

বাইন্যান্স বর্তমান ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের সবচেয়ে বড় নাম এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিংবা তাদের এক্সচেঞ্জ সেবা সর্বোত্তম এই বিষয়ে খুব কম মানুষ হয়ত দ্বিমত পোষণ করবে। কিন্তু তাদের কর্মকান্ড অবশ্যই ভালো নয়। বাইন্যান্স চাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে রুল করতে। তাদের বানানো নিয়ম ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের নিয়ম করতে চাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের সাম্রাজ্য গড়তে চলেছে যেখানে শাসন করবে চাংপেং ঝাও। সে পথে তারা এগিয়েছে অনেক। তবে, যদি এখনই তাদের এই সাম্রাজ্য ভেঙে না যায় এবং সেটা বড় হতে থাকে, অদূর ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আর ডিসেন্ট্রালাইজড থাকবে না। বাইন্যান্সের ৭০০০ বিটকয়েন হ্যাক করেও শান্তি পাবে না হ্যাকার, রোলব্যাক করবে চাংপেং ঝাও এর কথা মত। কথাটা শুনতে মনে হচ্ছে খারাপ কি? হ্যাকার থেকে ফান্ড ফেরত নিবে বাইন্যান্স। কিন্তু ব্যাপারটা যারা ডিসেন্ট্রালাইজেশন বোঝেন, তাদের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় এক বিন্দুও।

ট্রেন্ডিং পোস্ট

Copyright 2021-23. All rights reserved © coinalap.com

আমাদের সংবাদ সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন।