অল্টকয়েন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কন্টি র্যানসমওয়্যারের তথ্যের জন্য $১৫ মিলিয়নের অফার

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ঘোষণা করেছে যে তারা কন্টি র্যানসমওয়্যার ভেরিয়েন্টের তথ্যের জন্য $১৫ মিলিয়ন অর্থ প্রদান করবে। তারা এই কন্টি র্যানসমওয়্যার দ্বারা সংঘটিত অপরাধী গোষ্ঠীর জন্য আলাদা আলাদা দুটি পুরষ্কারের কথা উল্লেখ করেছে।
যেকোন তথ্য যা কন্টি গ্রুপের নেতাদের সনাক্ত করতে সাহায্য করে তাকে $১০ মিলিয়ন পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। উপরন্তু, কন্টি গ্রুপের সাথে ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করে এমন যেকোনো তথ্যের জন্য $৫ মিলিয়ন পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরষ্কারগুলো ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম রিওয়ার্ডস প্রোগ্রাম (TOCRP) এর অধীনে দেওয়া হবে যা যেকোনো দেশ থেকে গ্রহন করা যাবে।
র্যানসমওয়্যার আক্রমন :
র্যানসমওয়্যার হলো একপ্রকার ম্যালওয়্যার যা একজন ব্যবহারকারী বা সংস্থার ডেটা এনক্রিপ্ট করে যেন ব্যবহারকারী সেই ফাইল, ডাটাবেস বা অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস করতে না পারে। এই এনক্রিপ্ট ডেটা ডিক্রিপ্ট করার চাবি শুধুমাত্র আক্রমণকারীর কাছেই থাকে এবং পরবর্তীতে প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং মুক্তিপণ না দিলে ডেটা লিক বা মুছে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
র্যানসমওয়্যারগুলোকে একটি নেটওয়ার্ক, টার্গেট ডাটাবেস এবং ফাইল সার্ভার আক্রমন করার জন্য ডিজাইন করা হয় এবং এটি খুব সহজেই একটি সিস্টেমকে পঙ্গু করে দিতে পারে।
কন্টি র্যানসমওয়্যার :
কন্টি হলো একটি র্যানসমওয়্যার যা ২০২০ সাল থেকে Wizard Spider নামক রাশিয়া-ভিত্তিক একটি গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাদের এই র্যানসমওয়্যারটি মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজের সমস্ত সংস্করণ আক্রমন করতে সক্ষম বলে জানা গেছে। গ্রুপটি এর আগে Ryuk র্যানসমওয়্যারটি পরিচালনা করেছে।
কন্টি থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে, গ্রুপটি মালিকানাধীন ইন-হাউস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে যা অন্যান্য বেশিরভাগ র্যানসমওয়্যার প্রোগ্রামগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত।
২১ এপ্রিল ২০২২ এ গ্রুপটি কোস্টারিকা সরকারকে টার্গেট করে এবং এর অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সহ অন্তত পাঁচটি সরকারী সংস্থাকে আক্রমন করে। পরবর্তীতে তারা $১০ মিলিয়ন মুক্তিপণ দাবি করলেও মুক্তিপন না পাওয়ায় তথ্য ফাঁস করা শুরু করে।
গ্রুপটি ২০২০ সাল থেকে $২.৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি মুক্তিপণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩৫০ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রায়শই আক্রমণকারীরা বিটকয়েনের মতো বড় বড় ক্রিপ্টোকারেন্সিতে মুক্তিপন দাবি করে কারণ এই মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানার প্রয়োজন হয়না। ফলে আক্রমণকারী সহজেই তার পরিচয় গোপন রেখে ক্রিপ্টো ওয়ালেটে অর্থ গ্রহন করতে পারে।
-
বিটকয়েন2 years ago
বিটকয়েন মাইনিং কি, বিটকয়েন মাইনিং কিভাবে শুরু করা যায়?
-
অল্টকয়েন2 years ago
হার্ডওয়্যার ওয়ালেট কি? সেইফপাল হার্ডওয়্যার ওয়ালেট রিভিউ
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি সংবাদ2 years ago
৫৫০০ ডলারে NFT বিক্রি করলেন বলিউড অভিনেতা ভিশাল মালহোত্রা
-
ইথেরিয়াম2 years ago
জিপিউ মাইনিং – ইথেরিয়াম মাইনিং
-
অল্টকয়েন2 years ago
ডজকয়েন (DOGE)- নতুনদের জন্য গাইডলাইন
-
ইথেরিয়াম2 years ago
মাইনিং লাভজনক কি? ইথেরিয়াম মাইনিং এর বিস্তারিত
-
বিটকয়েন2 years ago
বিটকয়েন ওয়ালেট কি, হোল্ড করতে কোন ওয়ালেট ব্যবহার করা উচিত?
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি সংবাদ2 years ago
জুলাই মাসে ৪১০০০ গ্রেস্কেল বিটকয়েন আনলক