রাশিয়ান ব্লগার ইউরি বয়টসভ (Yuri Boytsov) কে পিটিয়ে বিটকয়েন নিয়ে গেল এক ইন্দোনেশিয়ান এবং তার সাথে থাকা দুইজন ডাকাত। একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল এর তথ্য অনুযায়ী, তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি ইউরিকে বিটকয়েন দেয়ার জন্য জোর করে। সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ডাকাত তাকে মারধর শুরু করে। পরে ইউরি ডাকাতকে ২৮৪০০০ ডলার সমমূল্যের বিটকয়েন পাঠাতে বাধ্য হয়।
ইউরির বিবৃতি অনুযায়ী, তিনজন লোক তাকে এবং তার গার্লফ্রেন্ডকে তাদের বাসায় ঢুকে টাকা দিতে বলে। ডাকাতদের মধ্যে একজন পুলিশের ছদ্মবেশে ছিল। ডাকাতরা ইউরিকে টাকা দিতে বললে সে দিতে রাজি হয় নি। তখন ডাকাতদের মধ্যে একজন ইউরির মাথায় কয়েকবার আঘাত করে। পরে সে তার ফোন আনলক করতে বাধ্য হয় এবং ডাকাতরা সেখান থেকে ২৮৪০০০ ডলার মূল্যের বিটকয়েন তাদের এড্রেসে নিয়ে যায়।
ইউরির গার্লফ্রেন্ড বলে, “ডাকাতরা কিছু বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ থেকে উইথড্র দেয়। সেগুলোর জন্য তাদের এক্সচেঞ্জের কাস্টোমার সাপোর্ট এ কথা বলতে হয়েছিল। কিন্তু কাস্টোমার সাপোর্ট তাদের বুঝতে পারে নি।”
কেন আমাদের ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন সম্পর্কে অন্যকে জানানো উচিত নয়?
উপরের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এইরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে অপরাধী ভিক্টিমকে বাধ্য করে বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টো দিতে। এইখানে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন, অপরাধী কিন্তু আগে থেকেই জানতো ভিক্টিম এর কাছে বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে। যার জন্যই তারা ভিক্টিম এর কাছ থেকে বিটকয়েন আদায় করেছে। অপরাধী যদি ভিক্টিমের কাছে বিটকয়েন আছে এ কথা না জানতো, তাহলে হয়তবা আক্রমণই হত না।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্টিভিটি শেয়ার করে থাকি। বন্ধুদের সাথেও অনেকসময় বলা হয়। এটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা। আপনাকে যদি কেউ টার্গেট করে আক্রমণ করে তাহলে আপনি কি করবেন? পুলিশের কাছে গিয়ে নিশ্চয়ই বলতে পারবেন না যে ডাকাত আপনার বিটকয়েন নিয়ে গিয়েছে। তাহলে আগে আপনাকেই ধরবে। সেজন্য, আমাদের উচিত আমাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের তথ্য যতটা সম্ভব নিজের কাছে রাখা। কারো সাথে শেয়ার না করা।